উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪/০৭/২০২৩ ১০:৪৮ এএম , আপডেট: ২৪/০৭/২০২৩ ১১:৪৩ এএম

সফল জনপ্রতিনিধি হওয়া একটা স্বপ্ন। কিন্তু স্বপ্নের পথে পা বাড়ালেই একের পর এক আসতে থাকে প্রতিবন্ধকতা। যে ব্যক্তি এসব প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে এগিয়ে যাবেন তিনিই হবেন সফল। আজ এমনই একজন সমাজ সেবকের কথা জানাচ্ছি- যিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি (মেম্বার) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ঝিলংজা ইউনিয়নের মেম্বার মিজানুল করিম সিকদার। তিনি সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তারপরও মানুষের প্রত্যাশা থাকে। তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, স্থানীয় সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং কক্সবাজারের প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

মিজান সিকদার কাজে সফলও হয়েছেন। সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং সহযোগিতার আশাও ব্যক্ত করে চলেছেন। মেম্বার ও রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে সফলতা পাওয়ায় তিনি পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার সর্বত্র সম্মানিত হচ্ছেন। তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি নবীন নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। তার অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। তার সাথে দলের ভাবমূর্তির উন্নয়ন হয়েছে। অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক সমাজসেবী মিজান সিকদার ।

ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত নম্র, ভদ্র, সদাহাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তার মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। কাজ করছেন নৌকার জন্য। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। বয়সে তরুণ হলেও তিনি মনোবল হারাননি। এই সফল মানুষটি দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রতিটি মানুষের বিপদআপদে ছুটে যান। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার ও দানশীল মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন।

এলাকার সাধারণ মানুষের মতে, আমরা নেতা বা মেম্বার বুঝি না। মিজান মেম্বার একজন ভালো মানুষ। তিনি একজন কর্মঠ ব্যক্তি। তিনি মেম্বার পদে থাকলে আমাদের তথা এলাকার উপকার হবে। আমাদের দুঃখ-দুর্দশায় তাকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী ও মেধাবী সমাজ সেবক এবং উদীয়মান নেতা হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন।

নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় ইউপি মেম্বার হিসেবে সবশ্রেণির মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন ঝিলংজা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ড়ের জনপ্রিয় মেম্বার মিজান সিকদার। তিনি ঝিলংজা ইউনিয়নের মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার প্রিয় ওয়ার্ড়কে উন্নয়নের আওতায় এনে ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। দৃশ্যপট পরিবর্তন করেছেন ২ নং ওয়ার্ডের। এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিলংজা ইউনিয়ন ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে সৃজনশীল পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। গৃহিত পরিকল্পনার আলোকে তিনি একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছেন।

এলাকা পরিদর্শনকালে ঝিলংজার ২ নং ওয়ার্ডবাসী এ প্রতিবেদককে বলেন, ঝিলংজা ইউনিয়নের বর্তমান জনপ্রিয় মেম্বার মিজান সিকদার সাধারণ পরিবারের সন্তান ছিলেন। যার কারণে খুব সহজে তিনি মানুষের মনের কথা বুঝতে পারতেন। যার ফলে এলাকাবাসী তাকে ২নং ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত করেছেন। নির্বাচিত হয়ে মিজান সিকদার এলাকার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন একাধারে।

সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদী ও মহতী মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্টির উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য সালিসের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন।

এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করেছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনো চলমান আছে। আগামী দিনে ঝিংলজা ইউপি মেম্বার মিজান সিকদার সততা ও কর্মদক্ষতার সাথে ইউনিয়নে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ২নং ওয়ার্ডকে আধুনিক মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন এমনটাই প্রত্যাশা ওয়ার্ড বাসীর সহ সকলের। মিজান সিকদার বলেন,আমি আজিবন সাধারণ মানুষের সাথে মাটির মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। তাদের দুঃখ আমার দুঃখ, তাদের সুখ আমার সুখ। ২নং ওয়ার্ডবাসী আমাকে বেশি ভালবাসে এটার বড় প্রমাণ গত ইউপি নির্বাচনে আমাকে তারা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করেছেন। আমি আজীবন আমার ওয়ার্ডবাসীর প্রতি চিরঋণী হয়ে থাকব। আমি সারা জীবন তাদের জনপ্রতিনিধি হয়ে নয় তাদের সেবক হয়ে থাকতে চাই

পাঠকের মতামত

ট্রাকচাপা দিয়ে হাসনাত-সারজিসকে হত্যাচেষ্টা, ড্রাইভার ও হেলপার আটক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করার ...